সপ্তম দিনের মত তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে। প্রথম দফার আলোচনার পর কোনও উল্লেখ যোগ্য ফলাফল না পাওয়ায় রাজধানী কিয়েভ ও তার আশেপাশের এলাকায় হামলা আরো জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনাসহ অআবাসিক ভবনগুলিতেও হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। গোলাবারুদের যুদ্ধের পাশাপাশি চলছে দুই দেশের সাইবার হামলাও। এরমধ্যে দুই দেশের ইউক্রেন সীমান্তে আরো সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বেলারুশ। এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অআরো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে ইউক্রেনে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক।
খবরে বলা হয়, রাশিয়া অন্যায়ভাবে ইউক্রেন কোনো জোটে যোগ দেবে না, এমন অঙ্গীকারপত্র পার্লামেন্টারি স্তরে উপস্থাপন এবং এ নিয়ে গণভোটের আয়োজন করবে বলে দাবি করছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দিক থেকে আরও দাবি করা হয়, ইউক্রেন প্রশাসনিক সীমান্তে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে স্বীকৃতি দেবে এবং ক্রিমিয়ার ওপর থেকে নিজেদের দাবি ছেড়ে দেবে।
অন্যদিকে গ্লাভকমের তথ্যমতে, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করে।
গতকাল সোমবার বেলারুশে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। আর রাশিয়ার দলে নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্টের সহযোগী ভ্লাদিমিন মেদেনস্কি।